কমলগঞ্জে আগুনে পুড়লো চা শ্রমিকের বাড়ি



 

আগুনে পুড়ে আমার সব শেষ অইয়া গেছে, পড়নে শুধু কাপড় আছে, বাকি আর কিছু থাকলো না। আমার টাকা, সোনা, ধান, চাল, আলমারি,পালং, কাপড় ছোপড় সহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে’ বারবার এই কথাগুলো বলে কান্না করছিলেন মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের কালী মন্দীর সড়কের দক্ষিণ পাড়ার মহেশীয়া রাজভড় (৬৫)। 



এসময় পাশে দাঁড়িয়ে শতাধিক চা শ্রমিক মহেশীয়া রাজভড় সান্ত্বনা দিচ্ছেন। তিনি মাধবপুর চা বাগানের চা শ্রমিকের কাজ করেন। অবিবাহিত মহেশীয়া রাজভড় একাই বসবাস করতেন ঘরে। বসতঘরসহ আগুনে তার ২টি কক্ষ পুড়ে চাই হয়ে গেছে। মহেশীয়া রাজভড় দাবি আগুনে পুড়ে আমার প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। আগুন লাগার সাথে সাথে স্থানীয়রা কিছুটা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও পড়ে গনমাধ্যম কর্মীর মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে কমলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।



ক্ষতিগ্রস্ত মহেশীয়া রাজভড় জানান, আমি ঘরে একা থাকি। আমার কেউ নাই। ভাইয়ের একটা মেয়েকে লালন পালন করছি পালক হিসেবে। সেও আজ বাড়িতে নাই। একা ঘরে রান্না করছিলাম। হঠাৎ দেখি ঘরের মাঝে বৈদ্যুতিক মেইন সুইচে আগুন লাগলো। আমি সাথে সাথে ঘর থেকে বের হইয়া যাই। পড়ে মুহুর্তে আগুন পুড়া ঘরে লাগে। মানুষে আমার আগুন নিবায় আবার দমকল বাহিনী আইয়াও নিবাইছে। আগুনে আমার কিছু রাখলো না সব শেষ হই গেছে। আমার টাকা, সোনা, ধান, চাল, আলমারি,পালং, কাপড় ছোপড় সহ মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আমি তো শ্রমিক মানুষ। কত কষ্ট করে এগুলো করলাম এখন এ পলকেই সব শেষ। প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে।


স্থানীয় প্যানেল চেয়ারম্যান শীব নারায়ণ শীল ও ইউপি সদস্য নারায়ন রাজভর জানান, আমরা বাগান ও ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাহায্য করবো। এছাড়াও উপজেলা প্রশাসন থেকে সাহায্যের জন্য আবেদন করা হবে।



কমলগঞ্জ ফায়ার স্টেশন অফিসার ফারুক আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্থানীয় গনমাধ্যম কর্মী সালাহউদ্দিন শুভ ভাইয়ে কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে প্রায় ৩০ মিনিটের চেষ্টা চালিয়ে আগুন পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসি। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।’


কমলগঞ্জ উপজেলা নিবার্হী অফিসার জয়নাল আবেদীন জানান, ‌‘আগুনের খবর শুনেছি। আগুনে পুড়ে যাওয়া পরিবারকে সহযোগীতা করা হবে।’

No comments

Powered by Blogger.