কমলগঞ্জে মদের বর্জ্য খেয়ে গরুর মৃত্যু

কমলগঞ্জে মদের বর্জ্য খেয়ে দুই গরুর মৃত্যু হয়েছে 

বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার শমশেরনগর কানিহাটি চা বাগানের অফিসটিলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।


স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কানিহাটি চা বাগানের বিরন মৃধা দীর্ঘদিন ধরে দেশীয় চোলাই মদ তৈরি ও বিক্রি করে আসছেন। এসবের ক্রেতা মূলত স্থানীয় চা শ্রমিকরা।

বিরণ মৃধার কারখানায় প্রতিদিন শত শত লিটার চোলাই মদ তৈরি হয়। গুড়, নিশাদল, রাসায়নিকসহ বিষাক্ত নানা পদার্থের সংমিশ্রণে এই দেশীয় মদ তৈরি হয়। পরবর্তীতে মদ তৈরির বর্জ্য যত্রতত্র ফেলে দেয়া হয়। এভাবে মদের বর্জ্য বিরন মৃধার বাসা সংলগ্ন ড্রেনে ফেলে দেয়ার পর গবাদি পশু তা খেয়ে ফেলে। বিষাক্ত বর্জ্য খেয়ে রোববার ও সবশেষ বুধবার একই বাগানের মিনা রায়ের দু’টি গরু পেট ফুলে মারা যায়।


অভিযোগ করে মিনা রায় বলেন, ‘মদের আবর্জনা খেয়ে দুদিনে আমার দুটি গরু মারা গেছে। এতে লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।


‘গরুর মুখে মদের দুর্গন্ধ পাওয়া গেছে। গরু বমি করার পরও মদের বর্জ্য দেখা গেছে। আমি নিজে ব্র্যাক থেকে ঋণ নিয়ে গরুগুলো কিনেছি। যত্ন করে লালন-পালন করছি। এখন মদের ময়লা খেয়ে আমার গরু মারা যাওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতিতে পড়লাম।’


অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে বিরন মৃধা বলেন, ‘আমি সতর্কতার সঙ্গে মদ তৈরি করি এবং বর্জ্যগুলো একটি গর্তে ফেলে দেই। আমার কারখানার বর্জ্য খেয়ে গরু মারা যায়নি।’


এ ব্যাপারে শমসেরনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শামীম আকনজি বলেন, ‘অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’


প্রসঙ্গত, কানিহাটি চা বাগানের মদ বিক্রেতা বিরন মৃধার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা আছে। এ সংক্রান্ত বিষয়ে তিনি কয়েক দফা জেলহাজতেও ছিলেন। স্থানীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে এবং তিনি চিহ্নিত মাদক কারবারি হিসেবে পরিচিত।

No comments

Powered by Blogger.